শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে নয়াপল্টনে শুরু হওয়ার কথা বিএনপির মহাসমাবেশ। তবে মহাসমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে নয়াপল্টন এলাকায়। বেলা ১১টার আগেই নয়াপল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়ক ভরে যায় নেতাকর্মী-সমর্থকে।পল্টন, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, বিজয়নগর এলাকাতেও ব্যানার নিয়ে ছোট ছোট দলে অপেক্ষমাণ দেখা যায় বিএনপি সমর্থকরা। অনেকে আবার রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন মঞ্চের সম্মুখভাগে থাকার জন্য। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড, গাজীপুর মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন তারা। সকাল থেকে থেকে আসা এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিলে নয়াপল্টন এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসময় তাদের হাতে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকাসহ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।এদিকে প্রচণ্ড রোদের মাঝেও সমাবেশে এসেছেন হাজার হাজার কর্মী। তাদের উৎফুল্ল ও সাময়িক বিনোদন দিতে মূল সমাবেশ মঞ্চের পাশে করা হয়েছে জাসাসের মঞ্চ। সেখান থেকে শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় গাওয়া হচ্ছে গান ও কবিতা। এসব গান ও কবিতার মাধ্যমে সরকারের নানা সমালোচনাও করা হচ্ছে।গানের মাধ্যমে গুণগান গাওয়া হচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের। সমালোচনা করা হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন ও নির্বাচন ইস্যু নিয়ে। এতে নেতাকর্মীরা গানের তালে তালে নেচে গেয়ে সময় কাটাচ্ছেন।মহাসমাবেশে আসা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলনে তারা মাঠে নেমেছেন। যতক্ষণ সরকার পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মাঠ ছাড়বেন না। মহাসমাবেশ থেকে সর্বোচ্চ কঠোর কর্মসূচি প্রত্যাশা করছেন তারা গাজীপুরের বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান সরকার বলেন, ‘দফা এক, দাবি এক; শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’ এই দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ আমরা রাস্তায় আমরণ অবস্থান করবো।লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারহান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৫ বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছি। জনগণকে মুক্তি দিতে, জনগণের গণঅধিকার, ভোটের দাবি নিয়ে রাস্তায় এসেছি। আমাদের এক দফা, এক দাবি; শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ঘটিয়ে বাড়ি ফিরবো। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি দেন। আমরা রাস্তায় থাকবো।শেরপুর জেলা যুবদল নেতা সাজ্জাদুল আলম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।