ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫,
সময়: ০১:৪৬:৪৪ PM

এমপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলাপাথারি গুলি:নিহত ১

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
06-11-2025 10:36:30 AM
এমপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলাপাথারি গুলি:নিহত ১

চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত সংসদ প্রার্থীর গণসংযোগের সময় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন, একজন নিহত হন। ঘটনায় ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) নিহত হন। বুধবার সন্ধ্যা ৬:৩০টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তবে বিএনপি জানিয়েছে যে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। গণসংযোগে শত শত লোক অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরোয়ারকে তাঁর প্রতিপক্ষ ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছিল। এই দ্বন্দ্ব ছিল স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সরোয়ার ও শান্ত নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। সরোয়ারের মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র আইনের লঙ্ঘন এবং হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির নিশ্চিত করেছেন যে সরোয়ারের মৃত্যু হয়েছে।

আগের ঘটনা অনুসারে, ৩০ মার্চ বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় কারে থাকা দুজন নিহত হন, কিন্তু সরোয়ার বেঁচে যান। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা তদন্তে জানিয়েছিলেন যে, সরোয়ারকে গুলি করা হয়েছিল স্থানীয় আধিপত্যের দ্বন্দ্বের কারণে।

ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পালিয়ে থাকা সাজ্জাদ আলীর (বড় সাজ্জাদ) অনুসারী। সরোয়ারও এক সময় তাদের অনুসারী ছিলেন, তবে ২০১৫ সালে তারা থেকে সরে যান।

২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে এক সন্ত্রাসী হামলায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটজন নিহত হন। সাজ্জাদ আলীকে (বড় সাজ্জাদ) মামলায় দণ্ডিত করা হয়, পরে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান এবং বিদেশে পালিয়ে যান। তিনি তার বাহিনী মারফত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ পরিচালনা করে আসছেন।

সরোয়ার এক মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর বিয়েতে বিএনপির নেতা এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সরোয়ারকে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে দেখা গেছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই ঘটনার বিএনপির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। গণসংযোগে সরোয়ার উপস্থিত হয়েছিলেন এবং এটি দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পূর্ববিরোধের কারণে ঘটে।

এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ জানান, চিকিৎসকেরা বলেছেন যে এরশাদ উল্লাহ আশঙ্কামুক্ত আছেন। তাঁর পেটে ছররা গুলি লাগে।