ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪,
সময়: ০২:৫৪:৫৯ PM

দলবাজ বিচারকদের পদত্যাগের আলটিমেটাম

ষ্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
16-10-2024 02:00:47 PM
দলবাজ বিচারকদের পদত্যাগের আলটিমেটাম

সুপ্রিম কোর্ট থেকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগ চেয়ে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে এ সময় বেধে দেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের দাবিও জানান তিনি। এসময় নানা স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত ছাত্ররা। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজ (বুধবার) দুপুর ২টার মধ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমথর্ন ও মদদদাতা বিচারকদের পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি সারাদেশের সব কোর্ট, জজকোর্টসহ সব বিচারালয় থেকে আওয়ামী লীগের দালাল বা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের পদত্যাগ দাবি করছি। তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’এসময় সমন্বয়ক সারজিসসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।এর আগে বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। বেলা সাড়ে ১১টার পরপর হাইকোর্টের মাজার গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে ভেতরে ঢোকেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পদদেশ থেকে মিছিল নিয়ে মাজার গেটে আসেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরাও মাজার গেটে অবস্থান নেন। পরে তারা একযোগে ভেতরে প্রবেশ করেন।শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক’ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে দিয়ে এই কর্মসূচির ডাক দেন তারা। ফেসবুক পোস্টে তারা লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি।’

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে দলবাজ, দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে কয়েকদিন বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। আজও আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলছে।এর আগে গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডাকেই হাইকোর্টে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাদের দাবির প্রেক্ষাপটে ওইদিনই পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।এদিকে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সকালে তাদের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি।