ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী ও খুনি রাষ্ট্রনায়কদের পরিণতি কেমন হয়, তার নিদর্শন বিশ্বের বুকে রাখার জন্যই গণভবনকে জাদুঘর করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।তিনি বলেন, যেকোনো ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী ও খুনি রাষ্ট্রনায়কদের কি পরিণত হয়, তা বিশ্বের বুকে একটা নিদর্শন হিসেবে রাখার জন্য গণভবনকে জাদুকর করা হচ্ছে। আর জনগণই যে রাষ্ট্রক্ষমতার আসল মালিক, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এ ভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গণভবন পরিদর্শনকালে তিনি এসব এ কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, এজন্য একটি কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও যারা জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্রুততম সময়ে গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরের রূপান্তর করা হবে। এ জাদুঘরে ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের ঘটনা, শহীদদের তালিকা, স্মৃতি এসব কিছুর একটি সামগ্রিক উপস্থাপনা থাকবে। পাশাপাশি কিছু ডিজিটাল উপস্থাপনা থাকবে।নাহিদ বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জনগণের বিজয়কে ধারণ করে রাখার উদ্দেশ্যে গণভবনের বর্তমান ভগ্নাবশেষ অক্ষত রেখেই জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে, যা জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।এসময় শিল্প উপদেষ্টা আজিজুর রহমান খান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের ওপর অত্যাচার, গুম, খুনের স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য গণভবনকে জাদুঘরের রূপান্তরিত করা হবে। পরবর্তীতে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।