ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,
সময়: ০৯:৫২:১৭ AM

৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন

স্টাফ রিপোর্টার ।।দৈনিক সমবাংলা
20-09-2024 09:52:17 AM
৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় হওয়া ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন ১০ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।দুপুরে ফখরুলের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন। পরে সবগুলো মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।  এর আগে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন একই আদালত।গত ৩১ ডিসেম্বর ফখরুলের পক্ষে একই আদালতে এসব মামলায় জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী সেই আবেদন গ্রহণ করে ফখরুলের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।  গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের বরাবর ১০ মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করার আগে এসব মামলায় জামিন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সিএমএম আদালতের দুজন বিচারক।

এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে বাকি নয় মামলায় তার জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে তার পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন আইন অনুসারে গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। নয়টি মামলার মধ্যে পল্টন থানার ছয়টি ও রমনা থানার তিনটি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওইদিনই প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় রাত ৮টার দিকে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় তার জামিন আবেদন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।