ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,
সময়: ০৭:২৫:২৭ AM

ভারতে শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই:

স্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা
13-09-2024 08:42:25 PM
ভারতে শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই:

ভারতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই, বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পেলেও আন্দোলন আমাদের চলমান রয়েছে। কারণ এখনো স্বৈরাচারের দোসররা চুপচাপ বসে নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা এবং ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। ভারত কোন আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে উত্তরাঞ্চলকে বন্যা ভাসিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বিভিন্নভাবে তাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। এজন্য বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত আর্থিক সহায়তা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব বলেন। সেলিনা রহমান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিবিদ সহ সবাই মাঠে নেমেছিল। কারণ স্বৈরাচার সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। গত ১৫ বছর জনগণ কথা বলতে পারেনি। তরুণ প্রজন্ম ভোটার হয়েছে কিন্তু ভোট দিতে পারেনি। বারবার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে অবৈধ সরকার জনগণের পেটের ওপর লাথি মেরেছে। অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। ছাত্র-জনতাকে নির্মমভবে হত্যা করেছিল শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে। হত্যার পর লাশ আগুন পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক শিশু তার বাবাকে হারিয়েছেন। তারা কিভাবে বাঁচবেন? গত ১৭ বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাগেরকে স্যালুট ও নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে সর্বপ্রথমে গ্রেফতার-নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের ওপর কারাগারে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৭ বছর সরাসরি সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ব্যাংকগুলোতে লুটপাট চালিছে। 

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেলিমা রহমান বলেন, খুনীদের ভারতে যেতে কারা সহায়তা করছে। তাদের খুজে বের করুন।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রুপরেখায় রাষ্ট্র সংস্কারে সব প্রস্তাব রয়েছে। এ রূপরেখা থেকে দেড় বছর আগেই দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে ছিল একজন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন এবং জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচিত হবেন। আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

অন্তবতী সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব আশ্বাস দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দরকার একটা নির্বাচিত সরকার। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করবে। বিএনপি কিন্তু একবারও বলেনি তাদের ক্ষমতায় আনতে হবে। এখন স্লোগান নয়, রাষ্ট্রের গঠনমুলক কাজ করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরেয়ে এনে সুন্দর ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার জন্য কারাগারে স্লো পয়জন করা হয়েছিল। আজকে তিনি এতটাই অসুস্থ যে তাকে আড়াই ঘন্টা বিমান করে বিদেশে পাঠানোর উপায় নাই। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে ডাক্তারা। তিনি জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করলেও সরকারের সঙ্গে আপোষ করেননি। আপোষ করলে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলন শহীদ ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাশে দাঁড়িয়েছে। এসময় শহীদ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাশে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আবান জানান তিনি।

আয়োজক দলের সভাপতি এড. পারভীন কাউসার মুন্নির সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. সরোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।