
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, সেভাবেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর খামারবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, পলাতক স্বৈরাচার সরকারের সময়ের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন । যেভাবে চলে গেছেন সেটিকে যদি আমরা মিলায়, তাহলে দেখবো ৫ আগস্ট আরেকজন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।তিনিও অনেকটা সেভাবেই পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার নাকি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
তিনি বলেন, ঘটনাটি গতকালের, এ নিয়ে আজকে পর্যন্ত যার সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে প্রত্যেকে প্রশ্ন করছেন, তাহলে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার জানে কি। সঙ্গে এই অভিযোগ উঠেছে সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার একদিকে যেমন হয়তোবা পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদেরকে নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে ।অপরদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদীবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, যারা আমরা মাঠে ছিলাম, সেই দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা ক্ষেত্র হয়তো তৈরি করতে চাইছে। পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদেরও পুর্নবাসন করার ক্ষেত্রও হয়তো তৈরি করতে চাইছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।তারেক রহমান বলেন, দেশ কোনও ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জণগণের। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিলো। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনও বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শিখায়। ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা ঠিক নয়। ভোটের মাধ্যমে মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমরা একটি রাষ্ট্র চাই। ঐক্য ও ভালোবাসা দিয়েই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।