ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫,
সময়: ১০:৪৯:১৭ AM

বিএনপি কর্মীদের আস্থার জায়গা রুহুল কবির রিজভী

স্টাফ রিপোটার।।দৈনিক সমবাংলা
20-08-2025 10:14:37 PM
বিএনপি কর্মীদের আস্থার জায়গা রুহুল কবির রিজভী

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।। এই দলটিতে নির্যাতিত নেতাকর্মীর সংখ্যা লাখ লাখ। কিন্তু দলের ভেতরে, মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের কাছে এক বাস্তবতা দীর্ঘদিন ধরেই স্পষ্ট। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাইরে সবচেয়ে বেশি আস্থা যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে, তিনি হলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপি’র প্রতিষ্টাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি ছিল তার আস্থা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস। দলটি ক্ষমতার বাহিরে থাকা অবস্থায় গত ১৭ বছর নেতা কর্মীরা ছিল অসহায়। গুম,খুন,মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে অনেকেই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছে । অনেকে হারিয়েছে বাস্তভিটা। আবার কেউ কেউ ব্যাবসা বানিজ্য হারিয়ে পথে বসেছে। এই সময়টা বিএনপির কর্মীদের কাছে বিপদে–আপদে রিজভী ছিলেন একপ্রকার অভিভাবক। হঠাৎ গ্রেপ্তার, মামলা, কর্মসূচিতে সংঘর্ষ কিংবা আহত–নিহতের খবর—সবক্ষেত্রেই নেতাকর্মীরা সবার আগে ফোন করেছেন এই নেতাকেই।

বিএনপি বিট কাভার করা এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, “বিএনপির সংবাদ সংগ্রহে রুহুল কবির রিজভী ছাড়া আর কাউকে আমরা সবসময় হাতের নাগালে পাইনি। বিএনপির এই নেতা দিনে–রাতে সাংবাদিকদের ফোন ধরেন, হোয়াটসঅ্যাপে খোঁজ নেন, বিবৃতি দেন। এ জন্যই সাংবাদিকদের কাছে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা অন্য সবার চেয়ে আলাদা।”

ঢাকার এক থানা বিএনপি সভাপতি জানান, “আমাদের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হলে বা সমস্যায় পড়লে রিজভী ভাইকেই ফোন করি। তিনি যদি সরাসরি কিছু করতে না-ও পারেন, অন্তত উর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়ে দেন, পাশে থাকার চেষ্টা করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।”

একজন যুবদল কর্মী বলেন, “আমরা মাঠে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করি, মামলা খাই, তখন রিজভী ভাইকে ফোন দিলে তিনি বলেন—‘ভয় পেও না, আমি খোঁজ নিচ্ছি।’ এই কথাটাই আমাদের শক্তি জোগায়।”

বিএনপির ভেতরের এক স্থায়ী কমিটির সদস্য স্বীকার করলেন, “রুহুল কবির রিজভী সবসময় দলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখেন। দলের দফতরে গিয়ে দেখবেন তিনি সকাল–সন্ধ্যা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন । বাসায় না গিয়ে এই দলীয় কার্যালয়ে একটানা দীর্ঘদিন থেকেছেন। এই কারণে নেতাকর্মীদের কাছে তিনি একরকম আশ্রয়স্থল।” গ্রহনযোগ্য নেতা।

এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “বিএনপির মতো একটি বৃহৎ দলে একজন যুগ্ম মহাসচিবের এমন জনআস্থা পাওয়া বিরল ঘটনা। তবে এর মধ্যে দুইটি দিক রয়েছে—একদিকে রিজভী আহমেদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, অন্যদিকে এটি প্রমাণ করছে যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মাঠপর্যায়ের তার মাধ্যেমে সম্বনয় করতে পেরেছেন। এক কথায় একজন পরিক্ষিত নেতা রিজভী আহমেদ।