ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতিকে কাফরুল থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য আবুল হোসেনকে আব্দুলকে বাসায় না পেয়ে তার দুই পুত্র আব্দুর রহমান রনি ও আহাদুল ইসলাম বাদল যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রামপুরা থানা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি সোবহান পাটোয়ারী ও ইয়াসিন আলী রনিকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। এ সমস্ত অমানবিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জনাব আমান উল্লাহ আমান এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনাব আমিনুল হক।
এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য আবুল হোসেন আব্দুলকে বাসায় না পেয়ে তার দুই পুত্রকে গ্রেফতারের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এ ধরণের অমানবিক কর্মকান্ড কেবলমাত্র আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর পক্ষেই সম্ভব। মূলত: চলমান ভয়াবহ দু:শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের কন্ঠকে স্তব্ধ করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করছে অবৈধ সরকার, আর তারই শিকার হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, সদস্য আবুল হোসেন এর দুই পুত্র আব্দুর রহমান রনি ও আহাদুল ইসলাম বাদল, রামপুরা থানা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি সোবহান পাটোয়ারী ও ইয়াসিন আলী রনি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের সকল চক্রান্ত ও নীলনকশা রুখে দিতে বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা শত নির্যাতন, জুলুম ও কারান্তরীণের পরও বলীয়ান হয়ে চলমান নির্দয় দেশ শাসন ও বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আরো প্রতিবাদী হয়ে উঠবে। আমরা উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। এই মূহুর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য আবুল হোসেন এর দুই পুত্র আব্দুর রহমান রনি ও আহাদুল ইসলাম বাদলকে মুক্তি দেয়ার জোর আহবান জানাচ্ছি।”