
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আইকনিক ফিগার জিএম রাশেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহচর জসীমউদ্দীন। জিএম রাশেদ, যিনি ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতীয়ভাবে পরিচিতি পান, তাকে এবারের ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্তরের সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে “Portrait of Noor Hossain”শিরোনামে অন্যান্য শহীদদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিভি)। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
কিন্তু গত ৩ এপ্রিল, রাশেদের উপর তার নিজ এলাকায় এক সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ওঠে জসীমউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন একটি চক্রের বিরুদ্ধে। রাশেদ নিজেই হামলার পর থানায় মামলা দায়ের করেন।ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন ১২ মে, জামিনে মুক্ত জসীমউদ্দীন উল্টো রাশেদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন, রাশেদ তার ছোট ভাইয়ের নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে।
তবে তদন্তে উঠে এসেছে বিস্ময়কর তথ্য—এই মামলার সাক্ষীদের অধিকাংশই জসীমউদ্দীনের আত্মীয়। বাকি দু’জন ‘বহিরাগত’ সাক্ষী দাবি করেছেন, তারা জানেনই না যে তাদের নাম ব্যবহার করে মামলার সাক্ষী বানানো হয়েছে।এই মামলাকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই ঘটনাকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, যা নিয়েও সমালোচনা করছেন বিশ্লেষকরা এলাকাবাসী, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করছেন এবং জিএম রাশেদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।