উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও যশোরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ মে) বিকেলে শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।যশোর শহরসহ আটটি উপজেলা থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশ দুপুর ১২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এসএসসি পরীক্ষার কারণে তা দেড়টার পরে শুরু হয়।এদিকে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। কয়েকটি মিছিলে নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠিসোটা দেখা গেলেও পরে পুলিশ বাধা দিলে তারা নিজে থেকে সেগুলো ফেলে দেন।যশোরে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগার আর বাড়ির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তাদের যখন তখন আটক করে জেলহাজতে পুরে দেওয়া হচ্ছে। যশোরের সমাবেশকে ঘিরে জেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের ধড়পাকড় চালানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে। এটা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানেন। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে তিনি সংবিধান দেখান। সংবিধান কী বড় পাথর যে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। জনগণের জন্যই তো সংবিধান।
তিনি বলেন, গাজীপুর নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণি পাসকৃত এক নারীর কাছে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে আওয়ামী লীগের। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে তাদের দলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
রিজভী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো দেশের সরকার গঠন হয় না। এসব নির্বাচন সুষ্ঠু দেখিয়ে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে বলে জানান দিচ্ছে। আসলে এসব ভেলকিবাজির রাজনীতি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। এখনও রাজত্ব করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, যারা এক সময় চেয়ে-চিন্তে খেত, তারা এখন বড় বড় শিল্প কলকারখানার মালিক। কীভাবে তারা আজ এত কিছুর মালিক হলো? পুনরায় বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে বিএনপি নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন করার আহ্বান জানান তিনি।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সাবিরা ইসলাম মুন্নী প্রমুখ।