বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপি কঠোর অবস্থানে থাকার পরও নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন দলটির সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতাকর্মী। তারা যেকোনো সময় দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী, বরিশাল নগররি ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৮ নং ওয়ার্ড মহানগর বিএনপির সদস্য সেলিম হাওলাদার, ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম, ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল হক, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপির মহানগর কমিটির সদস্য সেলিনা বেগম এবং জাহানারা বেগমও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন।এ ছাড়া পদ না থাকা বিএনপি’র সাবেক নেতাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, হুমায়ুন কবির, ফিরোজ আহমেদ, জেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাবের আবদুল্লাহ সাদী সহ আরও কয়েকজন।
মেয়র পদে বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।এর বাইরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের শ্যালক ও ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ মাহমুদ সিকদারের ভাইয়ের ছেলে তারিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম সুজনের মা মজিদা বোরহান ও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ এই বিষয়ে বলেন, এই সরকারের ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, এটিই চূড়ান্ত। বিএনপির নেতাকর্মীরা এই নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বহিষ্কার করা হবে।তিনি বলেন, আমার জানা মতে আমাদের ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দেখবেন, তারাই ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যে গাজীপুরে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এখানে ও এমনটাই হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া বিএনপির পদধারীরা বলছেন, ওয়ার্ডবাসীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে।