জন্ম সনদ তৈরী করে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় সহোদর আপন দুই ভাই। মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করেছে মো: নইমুদ্দিন মন্ডল পিতা মৃত রফাতুল্লা মন্ডল, মাতা-মোছা: ছালেহার বিবি, গ্রাম-সুবিদপুর, ডাকঘর-উজুলপুর, উপজেলা ও জেলা-মেহেরপুর, যার জন্ম সনদ নং- ১৯৮৯৫৭১৮৭৫৭১০৪৫১৬, জন্ম তারিখ-২০/০৪/১৯৮৯, নিবন্ধনের তারিখ-১৪/১২/২০১৪, নিবন্ধন বই নং-১৫। অপরজন মো: ফৈমদ্দিন মন্ডল, পিতা মৃত রফাতুল্লা মন্ডল, মাতা-মোছা: ছালেহার বিবি, গ্রাম-সুবিদপুর, ডাকঘর-উজুলপুর, উপজেলা ও জেলা মেহেরপুর, যার জন্মসনদ ১৯৮৫৫৭১৮৭৫৭১০৪৫১৫, জন্ম তারিখ-১৭/০২/১৯৮৫, নিবন্ধনের তারিখ-১৪/১২/২০১৪, নিবন্ধন বই নং-১৫। এরা দুজন আপন ভাই প্রকৃত নাগরিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাঠালিয়া গ্রামের। নৈমুদ্দিনের ভারতীয় পাসর্পোট নং পি-৭৮৬০৭৩৯, ভোটার ক্রমিক নং ৭৮৯, আইডি নং- এন এইচ ডব্লিউ-১৩২৫৮৬৯। ফৈইমুদ্দিন এর ভারতীয় পাসর্পেট নং জে-২৬৩৭৪২৮, ভোটার ক্রমিক নং ৭৮৭, আইডি নং- জি এম উআই-২০৫৫০০২।তথ্য ও এলাকা সুত্রে জানা যায় অসত উদ্দেশ্যে এবং বাংলাদেশের নাগরিক পাওয়ার জন্য স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগীতায় জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। তারা মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন গ্রামে অবস্থান করে মাদক প্রাচার এবং বিভিন্ন চোরাকারবারীর মত অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও দুজনে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরীর জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে তৎপরতা বেড়ে যায় এবং নির্বাচন কমিশন বরাবর জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীর প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য আবেদন করেন।
শিশিরপাড়ার মচলেম আলি জানান, এলাকাতে মাঝে মধ্যে হঠাৎ ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।উপজেলা নির্বাচন অফিসার দোলনকান্তি চক্রবর্তী জানান, সকল তথ্য আমাদের নিকট এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলি মাস্টার জন্ম সনদ দিয়ে ছিলেন পরবর্তীতে যখন জানতে পারি এটা অবৈধ তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করে এটা বাতিল করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদের বিষয়। কোন অপরাধের বিষয় থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।