ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,
সময়: ১০:১৩:৪৬ PM

ঈশ্বরদীতে তপু হত্যায় জড়িত ২ জন গ্রেফতার

ঈশ্বরদী পাবনা থেকে সংবাদদাতা
25-06-2024 11:18:01 AM
ঈশ্বরদীতে তপু হত্যায় জড়িত ২ জন গ্রেফতার

পাবনার ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্যকর তপু হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়নাল আবেদিন জয় (২০) পাবনার আতাইকুলা থানার দুবলিয়া এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র এবং মশুড়িয়া পাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের ৩০৫ নং রুমে থাকতো। এবং অপর গ্রেফতারকৃত ঈশা খালাশি ঈশ্বরদীর মশুড়িয়া পাড়ার রাজন খালাশির ছেলে। ঈশা নিহত তপুর বন্ধু এবং প্রতিবেশী।গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যার সাথে জড়িত মোঃ সোহেল (২২) নামে আরেকজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের ভিত্তিতে তপু হোসেনকে (১৪) হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। সোমবার ২৪ জুন সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃতরা তপু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ মাসুদ আলম। 

নিহত তপু হোসেন ঈশ্বরদীর মশুড়িয়া পাড়ার মোঃ আবুল কাশেম প্রামানিকের ছেলে। সে ঈশ্বরদী শহরের বকুলের মোড়ের একটি লেদ কারখানায় কাজ করতো। এই ঘটনায় নিহত তপু হোসেনের বাবা মোঃ আবুল কাশেম প্রামানিক বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে নিখোঁজের সাতদিন পর গত শনিবার (২২ জুন) রাত দুইটার দিকে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের তিন তলার ৩০৫ নং কক্ষের ট্র্যাঙ্ক থেকে তপুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী ক্রাইমসিন ডিপার্টমেন্টের একটি বিশেষ দল। গত ১৫ জুন দুপুরের দিকে কিশোর তপু হোসেন নিখোঁজ হয়।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, হত্যায় যারা জড়িত তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ মাসুদ আলম জানান, হত্যাকারীরা তপুকে প্রথমে জিম্মি করে পরিবারের নিকট থেকে অর্থ আদায় করতে চেয়েছিল। কিন্তু তপু জোরাজুরি করায় তাকে হত্যা করেছে বলে গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকার করেছে। তদন্ত করে হত্যায় তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। পলাতক আসামী সোহেলকে গ্রেফতারের পর যদি নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায় তখন হত্যার পেছনে আরও কোন কারণ আছে কিনা তা পরিস্কার হওয়া যাবে। পালাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।