ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,
সময়: ০৯:০৮:১২ AM

কেরানীগঞ্জের গৃহকর্মীকে বর্বর নির্যাতন

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধ ।।দৈনিক সমবাংলা
21-09-2024 09:08:12 AM
কেরানীগঞ্জের গৃহকর্মীকে বর্বর নির্যাতন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেহেরুন আক্তার(১৫) নামের এক গৃহকর্মীকে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। কু-প্রস্তাবে  রাজি না হওয়ায় গৃহ কর্মীকে একমাস গৃহবন্দী  রেখে তার উপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। প্রতিদিন রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে পেটানো এবং গরম পানি ও খুন্তির শেখা দিয়ে নির্যাতন করা হতো কিশোরীকে। পরে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বন্দী দশা থেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহকর্মীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভিকটিম মেহেরুন আক্তার ও তার মা অভিযোগ করে বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা গোলাম বাজার রোড  এলাকায় এক বছর পূর্বে স্বপনের স্ত্রী নাসরিন বেগম তার বাসায় গৃহকর্মী কাজ দেন। ছয় মাস পর্যন্ত ভালোভাবে কাজ করছিল সে। এর মধ্যে একা রুমে থাকার কারণে তার স্বামী স্বপনের বদনজর পড়ে বাবা হারানো এতিম অসহায় কিশোরীর উপর।স্বপনের কুপ্রস্তাবের রাজি না হওয়ার কারণে মিথ্যাচুরির অভিযোগ দিয়ে গত ১ মাস ধরে ঘরে  তালা দিয়ে রাখা হয়। গৃহকর্মী কিশোরীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুধু রাতে একবার খাবার দিত বাকি দুই বেলা না খেয়ে দিন পার করতে হতো তাকে। গভীর রাতে হাত, মুখ এবং পা বেঁধে খুন্তি পোড়া  দিয়ে কোমরের পিছনে অংশ এবং পায়ের বিভিন্ন স্থানে ছেকা  দিয়ে ঝলসে দিয়েছে  পাষণ্ড স্বপন ও স্ত্রী  নাসরিন বেগম। পাশের বাড়ির লোকজন রাতে প্রায় মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পায়। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ভিকটিমের মাকে খবর েিদয় বলে, আপনার মেয়েটি বাঁচাতে চাইলে এখনই পুলিশ এনে উদ্ধার করেন। লোকজনের সহায় পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে গত ১০ আগস্ট পুলিশ এসে ভিটমকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে দিয়ে যান এবং থানায় মামলা করা পরামর্শ দেন। কত ১১ই আগস্ট ভিকটিমের মা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গিয়ে স্বপন ও নাসরিনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ গত ১০ দিনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি।বরং পুলিশ ভিকটিম এর মাকে বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে মামলা করার কি দরকার আপস করে ফেলেন। অভিযুক্ত স্বপন বলেন আমার বাসায় এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শাহ জামান জানান,এরকম ঘটনা আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে ভীকটিমকে থানায় পাঠিয়ে দিন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।