নিজেরা বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির তথা বিরোধীদলের ওপর দায় চাপানো আওয়ামী লীগের পুরোনো পদ্ধতি ও রীতি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বরাবরই আওয়ামী লীগ এসব কাজ (অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর) করে বিএনপির ওপর দায় চাপায়।সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ বিলুপ্তির এক দফা আন্দোলনে বিএনপির গতকাল শনিবারের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মাতুয়াইলে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন রিজভী।রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন জমা দিতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে ছিল। এদিন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে আয়-ব্যয় বিবরণী তুলে দেন রিজভী।বিএনপি আবার জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি শুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের কথায় কোনো ভিত্তি থাকে না। তিনি (শেখ হাসিনা) যদি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হতেন তবে জনগণের কাছে জবাবদিহির ভয় থাকতো। কিন্তু সে ভয় তো উনার নেই। উনি ও উনার সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) যখন যা ইচ্ছা বলে যাচ্ছেন।
বিএনপির এ অন্যতম মুখপাত্র সাংবাদিদের আরও বলেন, আপনারা তো নিজেরাই প্রমাণ পেয়েছেন জ্বালাও পোড়াও কারা করছে। অতীতেও আপনারা তা দেখেছেন। গতকালের বাসে আগুনের ঘটনায় স্বয়ং বাসচালক বলছেন, মাত্র ১০ গজ দূরে ছিল পুলিশ।তিনি বলেন, বিরোধীদলের কেউ বাসে আগুন দেওয়ার সাহস করবে না। পুলিশ সেখানে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা বাস পোড়াবে, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। পাগলেও না। বরাবরই তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেরা এসব কাজ করে দায় চাপায় বিএনপির ওপর। এটি তাদের পুরোনো পদ্ধতি, পুরোনো রীতি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ফের বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ব্যবস্থা কে নেবে না নেবে সেটা তো জনগণই নির্ধারণ করবে। এত বড় মহাসমাবেশ হলো, সারাদেশ থেকে লোক এলো সেখানে কোনো অশান্তির সৃষ্টি হয়নি। আর অবস্থান কর্মসূচিতে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ, বেপরোয়া কাদানে গ্যাস ছুড়েছে, গুলি করেছে, সেগুলোও তো সবাই দেখেছে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপির আন্দোলন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কখনোই স্বচ্ছ নির্বাচন হবে না। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হতেই হবে।তিনি বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির আয় হয়েছে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা। এ সময়ে দলটির ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা। আমাদের মোট উবৃত্ত হচ্ছে ২ কোটি ৩ লাখ ৭০ লাখ ৮২৯ টাকা। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের চাঁদা, বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানের অর্থ থেকে আমাদের আয় হয়েছে।