ঢাকায় মহাসমাবেশের তারিখ এক পিছিয়ে শুক্রবার করেছে বিএনপি।বুধবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।তিনি বলেন, ‘‘ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাসী বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ২৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে আগামী ২৮ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেলা ২টায় নয়া পল্টনে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছে।”মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা আশা করিম দেশের গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্ঠারর লক্ষ্যে চলমান গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বাধা সৃষ্টি করবে না।”‘‘ আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত যেকোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বাধাগ্রস্থ করার যেকোনো অপচেষ্টা দেশবাসী প্রকৃত পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধা সৃষ্টি হিসাবেই দেখবে এবং এমন অপচেষ্টা নিয়োজিত গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারী হিসাবে গণ্য হবে।”
সংশ্লিষ্ট সকলকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ সফল করার উদার্ত আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।গত ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে জাতীয়তাবাদী যুব-জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের আয়োজিত তারুণের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকায় ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে স্থান চেয়ে চিঠি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে(ডিএমপি)
দুপুরে ডিএসপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার যেহেতু কর্মদিবস, সে কারণেই নয়াপল্টন ও সহরোওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিতে চান না তারা।
‘‘ তাদের এখনো কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে হাই কোর্টের একটা অবজারভেশন আছে। আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।”
এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বসে বিকাল চারটায়। দীর্ঘক্ষন বৈঠকের পর রাত সাড়ে ৮টায় দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আসেন বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষের সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে উচ্চ আদালতের আপত্তি ও কর্মদিবসে নয়া পল্টনের সমাবেশ অনুষ্ঠানের আপত্তির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘ যদিও ইতিপূর্বে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ও কর্মদিবসে নয়া পল্টনে অসংখ্য সমাবেশ-মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে দৃষ্টান্ত রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দীন আলম, কামরুজ্জামান রতন, সাইদ সোহরাব প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।